,

হবিগঞ্জে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে ৩ যুবক-যুবতী আটক

জুয়েল চৌধুরী ॥ হবিগঞ্জ শহরের নতুন বাস টার্মিনাল এলাকায অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে দুই যুবতী ও এক যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা। তবে এ নিয়ে পরষ্পর বিরোধি বক্তব্য পাওয়া গেছে। আটককৃতরা হল, বড় বহুলা গ্রামের দরবেশ আলীর পুত্র ফরিদ মিয়া (২৫) নতুন বাস টার্মিনাল এলাকার যৌন কমী শাবনুর (২০) ও লাখাই উপজেলার সিংহগ্রামের আব্দাল মিয়ার কন্যা রুমা আক্তার (১৮)। গত শনিবার দিবাগত রাত ৩টার সময় স্থানীয় লোকজন তাদেরকে আটক করে উত্তম মধ্যম দিয়ে কোর্ট স্টেশন পুলিশ ফাড়ির এএসআই মাসুদ আহমেদ এর নিকট সোপর্দ করে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানাযায, শাবনুর একজন পেশাদার যৌনকর্মী। সে বিভিন্নস্থান থেকে প্রলোভন ও হুমকি দিয়ে এনে এ পেশায় নিয়োজিত করে। সে খদ্দেরসহ আটক হয়ে বহুবার জেলে যায়। আইনের ফাকফোকর দিয়ে বেড়িয়ে এসে সে আবার এ পেশায জড়িয়ে পরে। গত শনিবার রাত ৯টায় ঢাকা থেকে রুমা হবিগঞ্জে আসে। সে বাস টার্মিনাল থেকে বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করলে শাবনুর তাকে প্রলোভন দিয়ে তার আস্তানায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে অসামাজিক কাজের কথা বললে সে প্রথমে অপারগতা প্রকাশ করে। তখন তার মোবাইলটি নিয়ে যায় ফরিদ এবং তাকে রাতভর ঘরে আটক রেখে মারধর করে। বিষয়টি জনতা আচ করতে পেরে তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। রুমা জানায়, সেঢাকায় একটি গার্মেন্টেসে কাজ করে। সে কোন যৌনকর্মী নয়। তাকে জোরপূর্বক এ কাজে লিপ্ত হওয়ার জন্য চেষ্টা করে ফরিদ ও শাবনুর। এঘটনায় এএসআই মাসুদ আহমেদ গতকাল রবিবার বিকালে বাদি হয়ে মামলা দিয়ে কোর্টে প্রেরন করে। এ ঘটনায় এলাকায় রসালো আলোচনার ঝড় বইছে। এ ব্যপারে সদর থানার ওসি মোঃ ইয়াছিনুল হক জানান, হবিগঞ্জ সদর থানার আওতাধীন এলাকায় কোন অপরাধ মোলক কর্মকান্ড করতে দেয় হবে না।


     এই বিভাগের আরো খবর